ওষুধের দোকানে ডাকাতি করত তারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কলেজ গেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ওষুধের দোকানে ডাকাতি করা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি )। গ্রেফতারকৃতরা হলো, শাহিন, সোহরাব ও সোহেল।

ডিবি পশ্চিমের উপ-কমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেলের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহাদত হোসেন সোমা  এবং আনিস উদ্দিন এর নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর মিরপুর এবং মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে রবিবার দিবাগত রাতে  তাদের গ্রেফতার করে।

জানা গেছে, শাহিনের দেশের বাড়ি বরিশাল সোহরাবের শরীয়তপুর সোহেলের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২ টি ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এডিসি সোমা। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে রাতে ফিল্মি স্টাইলে কলেজ গেটের বিল্লাল ফার্মেসিতে ডাকাতি করে এই চক্র। ২টা ৪৭ মিনিট। মুখে মাক্স পরিহিত ৩ অজ্ঞাত যুবকে ফার্মেসিতে ঢুকলে দোকানের  কর্মচারীরা ধারণা করেছিলেন তারা হয়তো ওষুধ নিতেই এসেছেন। পরবর্তীতে তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ওষুধের দোকানে ক্রেতা সেজে ডাকাতি করেছে।

সূত্র বলছে, এই চক্রের সদস্যরা সপ্তাহে ৩/৪ দিন ডাকাতি এবং ছিনতাই করে। যেদিন ছিনতাইয়ে বের হয় সেদিন কমপক্ষে ২/৩ টা ছিনতাই করে। বাড্ডা, রামপুরা, কালসি, বেড়িবাঁধ, আদাবর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, তুরাগ, রুপগঞ্জ, কাচপুর ব্রিজে ওরা নিয়মিত দিন তারিখ ঠিক করে ডাকাতি/ছিনতাই করতো। টিটুও সোহেল এই টিমেট লিডার। তবে টিটু এখনো পলাতক।

সূত্র আরো বলছে টিটু সবসময় গাড়ি চালাতো এবং ছিনতাইয়ের টাকা জমা নিত। পরে সবাই টাকা ভাগ করে নিত। টিটু টাকার ৪০%, সোহেল ৪০% নিত। বাকি সবাই ২০% ভাগ করে নিত। ওদের টিমে ১২ থেকে ১৫ জন সদস্য আছে। কাজে বের হলে এক টিমে ৫ থেকে ৮ জন সদস্য থাকতো। তিন টনের ট্রাকটি সম্প্রতি  শাহআলি থেকে ছিনতাই করে এই চক্র।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!